June 1, 2025, 1:19 am
বিপ্লবী ডেস্ক: ১ হাজার ১০১ কোটি টাকার গরমিল ও দুর্নীতির অভিযোগে দুদকের দায়ের করা মামলায় গ্রেফতার হওয়া পিরোজপুর এলজিইডির হিসাবরক্ষক একেএম মোজাম্মেল হক খান মারা গেছেন। বৃহস্পতিবার ভোর ৫টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
মোজাম্মেল হক খান মঠবাড়িয়া উপজেলার পশ্চিম ফুলঝুড়ি গ্রামের মৃত রইজুদ্দিন খানের ছেলে।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সমন্বিত পিরোজপুর জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, পিরোজপুর এলজিইডি অফিস ও জেলা হিসাবরক্ষণ অফিসের কর্মকর্তাদের যোগসাজশে সীমাহীন দুর্নীতির প্রমাণ পেয়ে ২৩ জনকে অভিযুক্ত করে তিনি বিভিন্ন সময় ৮টি মামলা দায়ের করেন। এদের মধ্যে গত ১৬ এপ্রিল বুধবার রাতে পিরোজপুর ডিস্ট্রিক্ট অ্যাকাউন্টস অ্যান্ড ফিন্যান্স অফিসার মো. মোহাসীন, এসএএস সুপার মো. মাসুম হাওলাদার ও নজরুল ইসলাম, সাবেক ডিস্ট্রিক্ট অ্যাকাউন্টস অ্যান্ড ফিন্যান্স অফিসার মো. আলমগীর হাসান এবং হিসাবরক্ষক একেএম মোজাম্মেল হক খানকে গ্রেফতার করে ১৭ এপ্রিল আদালতে সোপর্দ করা হয়।
আদালত শুনানি শেষে তাদের জামিন নামঞ্জুর করে জেলা কারাগারে প্রেরণের আদেশ দেন। এর মধ্যে হিসাবরক্ষক একেএম মোজাম্মেল হক খান বুধবার বিকালে কারাগারে থাকাকালীন অসুস্থ হয়ে পড়লে কারা কর্তৃপক্ষ দ্রুত তাকে পিরোজপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করান। সেখানে তার অবস্থার অবনতি ঘটলে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে তিনি বৃহস্পতিবার ভোর ৫টার দিকে মারা যান।
উল্লেখ্য, গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর সীমাহীন দুর্নীতির কারণে দেশব্যাপী আলোচনায় আসে পিরোজপুর এলজিইডি অফিস। এরপর স্থানীয় সরকার বিভাগ ও এলজিইডির প্রধান কার্যালয় থেকে কয়েকটি তদন্ত টিম পিরোজপুর এলজিইডি অফিসে সীমাহীন দুর্নীতির প্রমাণ পায়।
কাজ শেষ না করেই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে আড়াই হাজার কোটি টাকার বেশি বিল পরিশোধ করা এবং এক হাজার ১০১ কোটি টাকা ব্যয়ে গরমিল পান তদন্ত কমিটি। সর্বশেষ দুদক বিষয়টি তদন্ত করে এর সত্যতা পেয়ে দুর্নীতির সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে। পিরোজপুর এলজিইডি অফিস ও জেলা হিসাবরক্ষণ অফিসের কর্মকর্তাদের যোগসাজশেই সীমাহীন এ দুর্নীতির ঘটনা ঘটেছে।
Leave a Reply