December 4, 2024, 8:33 am
স্টাফ রিপোর্টার ॥ শিশু-কিশোরদের মধ্যে বড় একটি অংশ অনলাইন গেমে আসক্ত হয়ে পড়েছে। শিক্ষার্থীরা ফেসবুকে নিজস্ব আইডি খুলেছে। সেখানে টিকটকের ভিডিও পোস্ট দিচ্ছে। অনলাইন গেম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের আসক্তিতে শিক্ষার্থীদের বই পড়া কমে গেছে।
এতে তাদের সঠিক বিকাশ হচ্ছে না। শিশু-কিশোরদের সম্ভাব্য এসব বিপদ থেকে ফেরাতে অভিভাবকদের দৃষ্টি আকর্ষণ এবং নিজের প্রতি তিরস্কার জানাতে বরিশালে নিজের কুশপুতুল দাহ করে মনের ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সাইফুল্লাহ নবীন নামের একজন গল্পলেখক, শিশু সাহিত্যিক ও চিত্রশিল্পী।
রোববার (৩ জুলাই) বেলা ১১টার দিকে বরিশাল নগরীর টাউন হলের সামনে সদর রোডে নিজের কুশপুতুল দাহ করেন তিনি। সাইফুল্লাহ নবীনের বাড়ি বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলার চরহোগলা গ্রামে। গল্প লেখার পাশাপাশি ঢাকায় বাংলা একাডেমির একুশের বইমেলায় বর্ণমালা শিল্প ও স্টল সাজসজ্জার কাজ করেন তিনি।
তার এ পর্যন্ত ৫২টি বই প্রকাশিত হয়েছে। এরমধ্যে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক ১০টি, শিশুতোষ গল্পের বই ২৩টি, উপন্যাস ১৫টি এবং শিশুদের ছবি আঁকার বই রয়েছে চারটি। এছাড়া তার তৈরি ডেঙ্গু মশার ভাস্কর্য রয়েছে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরে। লেখক সাইফুল্লাহ নবীন জানান, শিশু-কিশোরদের মধ্যে একটি অংশ অনলাইন গেমে আসক্ত হয়ে পড়েছে। সপ্তম শ্রেণির গন্ডি পার করতে পারেনি এমন শিক্ষার্থীরা ফেসবুকে নিজস্ব আইডি খুলেছে।
সেখানে টিকটকের ভিডিও পোস্ট দিচ্ছে। অনলাইনে বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মের দিকে মানুষ ঝুঁকছে। অনলাইন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আসক্তিতে বইয়ের পাঠক কমে গেছে। প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানগুলো প্রকাশিত বই কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অনুযায়ী বিক্রি করতে পারছে না। ফলে তারা লেখকদের সম্মানীও দিতে পারছেন না।
অনেক লেখক অর্থ সংকটে ভুগছেন। লেখালেখি, ছবি আঁকা এবং সাইনবোর্ড লিখে জীবিকা নির্বাহ করেন সাইফুল্লাহ নবীন। তিনি বলেন, ‘এখন ডিজিটাল মেশিনে ব্যানার লেখার কারণে অংকন শিল্পীদের কাজ নেই। বই লেখার সম্মানীর টাকাও দিতে পারছেন না প্রকাশকরা। কয়েক বছর ধরে এ অবস্থা চলছে।
আর্থিক সংকটের কারণে আমাকে নিদারুণ অর্থকষ্টে ভুগতে হচ্ছে। লেখক সাইফুল্লাহ নবীন বলেন, ‘বুকার পুরস্কার বিজয়ী হাওয়ার্ড জ্যাকবসনের মন্তব্য শুনে ভয় লাগে। তিনি বলেছেন, দিনে দিনে আমাদের শিশু-কিশোররা অনলাইন গেমের দিকে তাকিয়ে থেকে মূর্খে পরিণত হচ্ছে। সন্তানদের সম্ভাব্য এ বিপদ থেকে ফেরাতে অভিভাবকদের দৃষ্টি আকর্ষণ এবং নিজের প্রতি তিরস্কার জানাতে এ ব্যতিক্রম কর্মসূচি পালন করেছি।
Leave a Reply