July 23, 2025, 12:04 pm

মাইলস্টোন ট্র্যাজেডি: বোনের মৃত্যুর পর চলে গেলো ছোট্ট নাফি

মাইলস্টোন ট্র্যাজেডি: বোনের মৃত্যুর পর চলে গেলো ছোট্ট নাফি

দৌলতখান প্রতিনিধি ॥ দুই সন্তান নাজিয়া ও নাফির ভালো পড়াশোনার জন্যই ঢাকায় এসেছিলেন ভোলার অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য আশরাফুল ইসলাম। ছেলে-মেয়েকে ভর্তি করিয়েছিলেন রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে, থাকতেন কামারপাড়া এলাকায়। ১৩ বছরের নাজিয়া তাবাসসুম পড়ত স্কুলটির তৃতীয় শ্রেণিতে আর ৯ বছরের আরিয়ান আশরাফ নাফি প্রথম শ্রেণিতে।

কিন্তু সোমবার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমানবাহিনীর যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের পর একে একে দুই সন্তানকে হারিয়ে শোকে ভেঙে পড়েছেন আশরাফুল। দুই শিশুর মামা মো. ইমদাদুল হক তালুকদার বলেন, “আমাদের মানসিক অবস্থা খুবই খারাপ। আমার বোন ও দুলাভাই দুজনই ভেঙে পড়েছেন। সবার কাছে দোয়া চাই।”

ইমদাদুল বলেন, তার বোনের জামাই আশরাফুল ইসলাম ভোলা জেলার দৌলতখান উপজেলার দক্ষিণ জয়নগর গ্রামের বাসিন্দা। কিন্তু পরিস্থিতি বিবেচনায় মঙ্গলবার ঢাকার কামাড়পাড়া এলাকায় তার ভাগ্নির জানাজা ও দাফন সম্পন্ন হয়েছে। নাফির জানাজা ঢাকায় হবে, পরে বোনের পাশেই তার দাফন সম্পন্ন হবে বলে জানান তিনি। মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ভবনে বিমানবাহিনীর যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের এ ঘটনায় গুরুতরভাবে দগ্ধ হয়েছিল নাজিয়া ও নাফি। পরে মঙ্গলবার ভোর ৩টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় নাজিয়া।

তার শরীরের ৯০ শতাংশ বার্ন হয়েছিল। আর ৯৫ শতাংশ বার্ন নিয়ে জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আইসিইউ-১০ নম্বর ইউনিটে চিকিৎসাধীন ছিল নাফি। কিন্তু মঙ্গলবার রাত ১২টা ১৫ মিনিটে বাবা-মায়ের বুক খালি করে সেও চলে যায় না ফেরার দেশে। জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক ডা. শাওন বিন রহমান বলেন, উত্তরা বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় দগ্ধ নাফি রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আইসিইউতে মারা যায়। তার শরীরের ৯৫ শতাংশ ফ্লেম বার্ন ছিল।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত © All rights reserved © 2024 DailyBiplobiBangladesh.com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com