November 21, 2024, 3:53 pm

শিক্ষক সংকটে বাউফলে ব্যহত পাঠদান ব্যবস্থা

শিক্ষক সংকটে বাউফলে ব্যহত পাঠদান ব্যবস্থা

বাউফল প্রতিনিধি ॥ পটুয়াখালীর বাউফলে চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়নে ০৬টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক সংকটের কারনে ব্যাহত হচ্ছে পাঠদান, ফলে মানসম্মত শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে শিক্ষার্থীরা। শিক্ষক সংকটের কারনে দারিদ্র পিরিত ওই ইউনিয়নের প্রাথমিক শিক্ষায় স্থবিরতা নেমে আসলেও কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে উদাসীন। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সদর উপজেলা থেকে বিচ্ছিন্ন নদী বেষ্টিত চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়নের মোট ৬টি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এসব বিদ্যালয়ে মোট ১০৫০ জন শিক্ষার্থীর বিপরীতে শিক্ষকের পদ রয়েছে ৩৩টি। কিন্তু বাস্তবে ৬টি বিদ্যালয়ে কর্মরত আছেন মাত্র ১৩ জন শিক্ষক। এরমধ্যে চরওয়াডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক আছেন ৩ জন, দক্ষিণ চরওয়াডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ২ জন, চররায়সাহেব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৩জন, চরকচুয়া-মিয়াজান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ২ জন, চরব্যারেট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১ জন ও আসম ফিরোজ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ২ জন শিক্ষক রয়েছেন। শিক্ষক সংকটের কারনে কখনও কখনও একই কক্ষে একাধিক শ্রেণীর শিক্ষার্থী একসঙ্গে বসিয়ে পাঠদান করতে হচ্ছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক শিক্ষক বলেন, চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়নের সঙ্গে উপজেলার মূল ভূখন্ডে যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম খেয়া নৌকা। দুর্গম এই ইউনিয়নের মানুষের প্রধান পেশা মাছ ধরা ও কৃষিকাজ। জেলে ও কৃষক পরিবারের অধিকাংশ শিশু লেখাপড়ার পাশাপাশি পরিবারে মাছ শিকার ও কৃষিকাজে সহায়তা করে থাকে। দারিদ্রতার কারনে এখানকার শিশুদের সহজেই স্কুলমূখী করা যাচ্ছে না। তার উপর শিক্ষক স্বল্পতার কারনে প্রতিটি বিদ্যালয়ে পাঠদান ব্যাবস্থা ভেঙ্গে পরেছে। এ অবস্থায় এখানে মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিত করা যাচ্ছে না। দীর্ঘদিন শিক্ষক বদলী এবং সংযুক্তি বন্ধ করে রাখায় এ সমস্যার সমাধানও হচ্ছে না। চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক মেম্বার আফরোজা বেগম বলেন, এমনিতেই আমরা পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী। তার উপর মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিত করা না হলে আরও পিছিয়ে যাব। তিনি বলেন, দূর্গম জনপদ হওয়ায় শিক্ষা কর্মকর্তারা নিয়মিত স্কুল পরিদর্শন করেন না। আমি চন্দ্রদ্বীপের প্রতিটি বিদ্যালয়ে শিক্ষকের শূণ্যপদ পূরণের জন্য জোর দাবী জানাচ্ছি। চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এনামুল হক আলকাচ মোল্লা বলেন, প্রতিটি বিদ্যালয়ে মাত্র ২-৩ জন শিক্ষক দিয়ে পাঠদান কার্যক্রম পরিচালনা করতে হচ্ছে। এখানে শিক্ষক সংকট থাকায় বেশ কিছু শিশু প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তেঁতুলিয়া পাড়ি দিয়ে মূলভূখন্ডের স্কুলে গিয়ে লেখাপড়া করছে। তিনি বলেন, শিক্ষক সংকট দূর করার জন্য উর্দ্ধতন কতৃপক্ষের সঙ্গে আলাপ করে পদক্ষেপ নেয়া হবে। উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা দেবাশীষ ঘোষ বলেন, বদলী ও সংযুক্তি বন্ধ থাকায় সেখানে শিক্ষক পোষ্টিং দেয়া যাচ্ছে না। তবে বদলী বা সংযুক্তির আদেশ পেলে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত © All rights reserved © 2024 DailyBiplobiBangladesh.com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com