November 21, 2024, 5:47 pm
স্টাফ রিপোর্টার ॥ জাল-জালিয়াতির অভিযোগে বরিশালে মো: লিয়াকত আলী মোল্লা নামের এক ব্যাক্তিকে কারাগারে প্রেরণ করেছে আদালত। গত ৩০ এপ্রিল বরিশাল বিজ্ঞ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালতের বিচারক আল ফয়সাল তাকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন। লিয়াকত এর বিরুদ্ধে বরিশাল বিজ্ঞ মেট্র্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালতে দায়েরকৃত মামলা নং-১৯৫৯/২০২২। মামলা সূত্রে জানাযায়, নগরের ২৯ নং ওয়ার্ডের কাশিপুর হাই স্কুল সংলগ্ন ইছাকাঠী সড়কের বাসিন্দা মৃত এয়াকুব আলী হাওলাদার এর ছেলে দেলোয়ার হোসেন (৪৫) এর সাথে ২৮ নং ওয়ার্ডস্থ নথুল্লাবাদ এলাকার বাসিন্দা মৃত হাচান আলী মোল্লার ছেলে মো: লিয়াকত আলী মোল্লা (৫০) শওকত মোল্লা (৫৩) ও জিয়া সড়ক এলাকার বাসিন্দা মৃত মুজায়ের হোসন এর ছেলে আলমগীর হোসেন জাল কাগজ তৈরী করে তাদের পৈত্তিক সম্পত্তি হাতিয়ে নেয়ার চেষ্টায় লিপ্ত থাকেন। মামলায় উল্লেখ করা হয়, ভুক্তভোগী দেলোয়ার হোসেনর পিতা এয়াকুব হাওলাদার ১৯৮৪ সালে স্থাণীয় গফুর মালতিয়ার বিরুদ্ধে জমিজমা সংক্রান্ত মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং ১০২/১৯৮৪। ওই মামলা চলাকালীন এয়াকুব আলী মৃত্যুবরণ করলে ভুক্তভোগী ও তার ভাই ওই মামলা পরিচালনার জন্য মামলার আসামী মো: লিয়াকত আলী মোল্লাকে দায়িত্ব দেন। আর এরপর থেকেই লিয়াকত আলী ওই মামলার কথা বলে বিভিন্ন সময়ে ভুক্তভোগী ও তার পরিবারের সদস্যদের কাছ থেকে ১৫ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেন। এছাড়াও মামলা চলমান জমি ভুক্তভোগীদের নামে মিউটেশন করার কথা বলে আরো ১ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়। এবং এক পর্যায়ে মামলার আসামী লিয়াকত আলী বিবাদীদের সাথে যোগসাজসে সম্পত্তি ভোগ দখলের চেষ্টায় লিপ্ত হয়। বিষয়টি ভুক্তভোগী টের পেয়ে গত বছরের ১ মার্চ মামলার দায়িত্বভার (আমমোক্তার নামা) পরিবর্তন করার জন্য আসামী লিয়াকত আলীকে আইনজীবিদের মাধ্যমে লিগ্যাল নোটিশ প্রেরণ করেন। আর এরপরই অভিযুক্ত ক্ষিপ্ত হয়ে ওই সম্পত্তি দখল চেষ্টার মিশনে নামে। তারই প্রেক্ষিতে গত বছরের জুন মাসে আসামী লিয়াকত ভুক্তভোগী দেলোয়ার এর বিরুদ্ধে আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং-৪০১/২০২২। ওই মামলায় লিয়াকত উল্লেখ করেন, ২০০৯ সালের ১০ অক্টোবর ভুক্তভোগী দেলোয়ার ও তার ভাই তাদের ২০ শতাংশ সম্পত্তি ২ লাখ ২০ হাজার টাকা শতাংশ করে মোট ৪৪ লাখ টাকায় বিক্রি করেন। যা থেকে তারা ২৪ লাখ টাকা অগ্রীম গ্রহন করেন। এবিষয়ে ভুক্তভোগীর সাথে আলাপাকালে তিনি বলেন, লিয়াকত আলী মোল্লা আইন সমন্ধে ভালো জানায় পিতার মৃত্যুর পরে তাকে মামলার পরিচালনার ভার দেন তিনি। কিন্তু লিয়াকত মামলার কথা বলে তার কাছ থেকে প্রায় ১৬ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার পাশাপাশি বিভিন্ন সময়ে সাদা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর রাখেন। আর সেই স্বাক্ষর এর মাধ্যমে জাল-জালিয়াতি করে আমাদের জমি দখলের পায়তারা চালিয়ে আসছে। অনুসন্ধানে জানা গেছে লিয়াকত ও তার ভাই শওকত এর কাছ থেকে নগরের নথুল্লাবাদ এলাকায় ৩.৫০ শতাংশ জমি ক্রয় করেন বাবুগঞ্জ উপজেলার দেহেরগতি ইউনিয়নের বাসিন্দা মো: হারুন অর রশিদ। আর এই জমি কেনাই যেন তার কাছে কাল হয়ে দাড়িয়েছে বলে জানান তিনি। এ নিয়ে তিনি আদালতে দায়ের করেছেন মামলা। যার নং-১৯৫/২০২২। এছাড়াও নথুল্লাবাদ এলাকার একাধিক ব্যাক্তির সাথে আলাপকালে জানাযায়, ২০১৯ সালে নথুল্লাবাদ আল্লাহর দান হোটেলের সামনে পার্কিং করা নাহার পরিবহনের হেলপার (১৭) কে বলৎকার করে লিয়াকত। এসময় ওই ছেলের চিৎকারে স্থাণীয়রা এগিয়ে এসে ঘটনাস্থল থেকে লিয়াকতকে হাতে নাতে আটক করে। পরে ওই ছেলের মা ফরিদপুর থেকে বরিশালে এসে লিয়াকত এর বিরুদ্ধে বিমানবন্দর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
Leave a Reply