November 23, 2024, 12:28 pm
আগৈলাঝাড়া প্রতিনিধি ॥ বরিশালের আগৈলঝাড়ায় এক কিশোরীকে ধর্ষনের ঘটনায় সালিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। ওই সালিশ বৈঠকে ধর্ষক সাইফুলকে দুই বছর এলাকায় আসতে দেওয়া হবে না এবং তার ভাগের সম্পত্তি তার সন্তানদের নামে লিখে দেওয়ার সিদ্বান্ত এবং সাইফুলকে খুজে পেলে কিশোরীকে ডেকে দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিধান্ত নেওয়া হবে ধর্ষিতা কিশোরীর মাকে বলা হয়েছে কি ভাবে আপনার ঘরে সাইফুল গেল সহ অনেক হুমকি ধামকি দেওয়া হয়েছে। সালিশ বৈঠক হওয়া ঘরের মালিক আঃ রহমান হাওলাদার বলেন, গত ২৫ জুলাই রাতে আমার বাড়িতে বসে রাংতা গ্রামের মোঃ মালেক হাওলারের ছেলে সাইফুল ইসলামের বিরুদ্ধে এক মেয়ে সংক্রান্ত বিষয়ে সালিশ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। ওই সালিশ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি নুর মোহাম্মাদ আকন, প্রভাষক কামরুল আকন, ব্যবসায়ী আঃ ছালাম হাওলাদার,সেকেন্দার মৃধা, আঃ মালেক আকনসহ ২০-২৫জন। স্থানীয় ইউপি সদস্য আনোয়ার হোসেনের নির্দেশে এই সালিশ বৈঠক হয়েছে বলে জানান স্থানীয় আনেকে। ওই সালিশ বৈঠকে ধর্ষক সাইফুলের পিতাও উপস্থিত ছিল। বিভিন্ন কথার পরে ওই সালিশের প্রধান নুর মোহাম্মাদ আকন সকলকে ওই সালিশের সিদ্বান্ত জানিয়ে দেন। ওই সালিশ বৈঠকে সিদ্বান্ত হয় ধর্ষক সাইফুলকে দুই বছর এলাকায় আসতে দেওয়া হবে না এবং তার ভাগের সম্পত্তি তার দুই সন্তানদের নামে লিখে দেওয়ার। এব্যাপারে সালিশের প্রধান নুর মোহাম্মাদ আকন ধর্ষনের ঘটনায় সালিশ করার কথা অস্বীকার করে বলেন, আমরা সাইফুলের কারনে স্থানীয়রা ও তার পিতা অতিষ্ট। তার পিতার অনুরোধে বসে একটা সিদ্বান্ত নিয়েছি। সালিশে কোন মেয়ে সংক্রান্ত কথা হয়নি। ইউপি সদস্য আনোয়ার হোসেন মোবাইলে বলেন, এই সালিশের ঘটনা আমার জানা নেই তবে এর আগের সালিশের, তিনি বলেন আমি ঢাকায় রয়েছি কিছু সমায় পরে ফোন দিয়ে সব জানাব এর পর আর মোবাইল রিসিভ করে না। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মিল্টন মন্ডল সাংবাদিকদের জানান, এই ধরণের ঘটনায় কেউ সালিশ-মীমাংসা করতে পারে না। যদি কেহ করে থাকে তার বিরুদ্ধে আইনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। উল্লেখ্য, উপজেলার রাজিহার ইউনিয়নের রাংতা গ্রামের আঃ মালেক মাওলার বখাটে ছেলে মোঃ সাইফুল ইসলাম বিভিন্ন সময় পাশ্ববর্তী বাড়ির ১৫ বছরের এক কিশোরীকে কু-প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। তার কু-প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ২০ জুলাই রাতে ওই কিশোরীকে ঘরে একা পেয়ে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে বখাটে সাইফুল ইসলাম। ওই কিশোরীর পরিবার দরিদ্র হওয়া এতদিন হুমকির ভয়ে মামলা করতে সাহস পায়নি। ২৭ জুলাই সকালে ওই কিশোরীর মা বাদী হয়ে আগৈরঝাড়া থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন।
Leave a Reply