December 3, 2024, 5:43 pm
মোহাম্মদ ছায়েদ, চরফ্যাশন ॥ ভোলার চরফ্যাশন উপজেলায় এবার আখের ফলন খুব ভালো হয়েছে। বাজারে চাহিদা থাকায় ভালো দামও পাচ্ছেন চাষিরা। আখ চাষে লাভবান হওয়ায় চাষিদের মুখে হাসি ফুটেছে। গত বছরের তুলনায় চলতি মৌসুমে আখ চাষ বৃদ্ধি পেয়েছে প্রায় দ্বিগুন। কৃষকদের আরো বেশি লাভবান হওয়ার জন্য আখের সঙ্গে সাথি ফসল চাষ করার পরামর্শ দেন উপজেলা কৃষি বিভাগ। মঙ্গলবার সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার রসুলপুর, আমিনাবাদ, চর মাদ্রাজ, ওসমানগঞ্জ, হাজারিগঞ্জ, এওয়াজপুর, ওমরপুর ও চর মানিকা ইউনিয়নের বিস্তৃত জমিতে আখ চাষ করা হয়েছে। এর মধ্যে রসুলপুর ইউনিয়নেই প্রায় ৪২ একর জমিতে চাষ হয়েছে আখ। এখানে বিভিন্ন জাতের আখ চাষ হলেও ২০৮ জাতের আখ চাষ হয়েছে সবচেয়ে বেশি। অন্যান্য ফসলের চেয়ে তুলনামূলক উৎপাদন খরচ কম ও অধিক দামে বিক্রি হওয়ায় প্রতি বছর বাড়ছে আখ চাষের জমির পরিমাণ। এখন বিক্রির জন্য আখ কাটাসহ ক্ষেতের পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন চাষিরা। চাষি ফরহাদ, এনায়েত রাঢ়ী ও কবির মুন্সি জানান, একটু লাভের আশায় বছরের পর বছর সংগ্রাম করে আসছি। গত ৫ বছরে উৎপাদন খরচ উল্লেখযোগ্য বাড়লেও ধানের দাম আনুপাতিক হারে বাড়েনি। ধান চাষে অমানুষিক পরিশ্রম, মূলধন বেশি এবং লোকসানের আশঙ্কা থাকায় অনেকে ধান চাষ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। এখন ধানের বিকল্প হিসেবে আখসহ বিভিন্ন সাথি সবজি চাষ করছেন বলে জানান তারা। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. ওমর ফারুক বলেন, বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় মিষ্টিফসল হচ্ছে আখ। আখ থেকে হয় রস, গুড়, চিনি। এ অঞ্চলের মাটি ও আবহাওয়া আখ চাষের জন্য খুবই উপযোগী। কম খরচে, কম পরিশ্রমে, অল্প সময়ের মধ্যে অধিক লাভবান হওয়ার একটি ফসল হচ্ছে আখ চাষ। অল্প জমিতে আখ চাষ করে অনেক বেশি উপার্জন করছে চাষিরা। তাই দিন দিন এ উপজেলায় আখ চাষির সংখ্যা বাড়ছে। কৃষককে আখ চাষে উদ্বুদ্ধ করাসহ সবধরনের সহযোগিতা করছেন বলেও জানান তিনি।
Leave a Reply