November 24, 2024, 2:22 am
বিপ্লবী ডেস্ক ॥ আগের মতোই জোর করে, প্রশাসনকে নিয়ন্ত্রণ করে আওয়ামী লীগ আবার ক্ষমতায় আসতে চাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের কঠোর সমালোচনা করে তিনি বলেছেন, ‘এখনই গুলি করতে শুরু করেছে। এখনই রাতে বাড়িতে থাকতে দেয় না। মিথ্যা মামলার ওয়ারেন্ট নিয়ে হাজির হয়।’ শনিবার দুপুরে ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে পেশাজীবী সমাবেশে মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তাঁর স্ত্রী জুবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের মামলায় সাজা দেওয়ার প্রতিবাদে এবং ন্যায়বিচার ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার দাবিতে এ সমাবেশের আয়োজন করে বিএনপিপন্থী সংগঠন বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ (বিএসপিপি)। সমাবেশে মির্জা ফখরুল অভিযোগ করেন, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ধ্বংস করে দিয়ে পরপর দুটো নির্বাচনকে হাস্যকর করে দিয়ে এ সরকার জোর করে ক্ষমতা দখল করে আছে। আবারও ক্ষমতায় যেতে পাঁয়তারা শুরু করেছে। তিনি আরও বলেন, ‘ডিসির (জেলা প্রশাসক) পরিবর্তন, এসপির (পুলিশ সুপার) পরিবর্তন, পোস্টিং (পদায়ন), প্রশাসনে হাজার হাজার লোককে পদোন্নতি। একটাই উদ্দেশ্য, তারা ভাবছে আগের মতোই আবার প্রশাসনকে নিয়ন্ত্রণ করেই তারা আবার বৈতরণি পার হবে।
নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে করা মামলা ও গ্রেপ্তারের বিষয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল বলেন, ‘হাইকোর্টে জামিনের জন্য এসেছিলেন সালাউদ্দিন সাহেব (বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ)। কিন্তু বাসায় যেতে পারেননি। রাস্তার মধ্য থেকেই তাঁকে তুলে নিয়ে গেছে। এসব করে আটকানো (আন্দোলন) যাবে না। বন্যার পানি যেমন আসতে থাকে, এখন বন্যার পানির মতো মানুষ বিএনপির এক দফার আন্দোলনে আসতে শুরু করেছে। মিথ্যা মামলা করে, গায়েবি মামলা দিয়ে বন্ধুক-পিস্তল দিয়ে গুলি করে, জখম করে, নিহত করে, গুম করে দেশের মানুষের আকাক্ষাকে স্তব্ধ করা যাবে না।’ বিচারব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তুলে মির্জা ফখরুল বলেন, গায়েবি মামলায় জামিন দেওয়া হচ্ছে না।
কারাগারে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। কারাগারেও নির্যাতন করা হচ্ছে, এমন অভিযোগ তুলে তিনি বলেন, ‘মনে হচ্ছে, মধ্যযুগীয় বর্বর যুগে বাস করছি। সভ্য গণতান্ত্রিক দেশে এসব চলতে পারে না।’ তারেক রহমান ও জুবাইদা রহমানের সাজার বিষয়ে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘সরকারের পদত্যাগের দাবিতে মানুষ যখন জেগে উঠেছে, সেই সময়ে এ রায় দিয়ে সরকারের যেটা লক্ষ্য, সেই লক্ষ্য হচ্ছে জনগণের দৃষ্টিকে বিভ্রান্ত করা। এ আন্দোলনকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করা।
Leave a Reply