November 23, 2024, 9:27 am
মঠবাড়িয়া প্রতিনিধি ॥ পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় একটি মাদ্রাসায় আয়া এবং নিরাপত্তা কর্মী পদে চাকরি দেয়ার কথা বলে দুই ব্যক্তির নিকট থেকে ৯ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে সভাপতি টিপু খানের বিরুদ্ধে। সাইদুল ইসলাম টিপু খান উপজেলার সাপলেজা ইউনিয়নের নলী জয়নগর গ্রামের কাদেরিয়া দাখিল মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও ওই গ্রামের আরশাদ আলী খানের ছেলে। ২০২৩ সালের অক্টোবর মাসে নিয়োগ সম্পন্ন হলেও ঘুষ নেয়া টাকা ফেরৎ না দেয়ায় চাকুরী বঞ্চিত প্রার্থী এবং তাদের স্বজনরা এ অভিযোগ তোলেন। মাদ্রাসার ম্যানেজি কমিটির সদস্য ভুক্তভোগী আবুল কালাম হাওলাদার বলেন, তার স্ত্রী মাসুমা বেগমকে আয়া পদে চাকরি দেয়ার কথা বলে বিভিন্ন সময় ৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন সভাপতি মোঃ টিপু খান। ওই ৫ লাখ টাকা যোগাড় করেতে তিনি সর্বস্ব হারিয়েছেন। গত ৭ অক্টোবর‘২৩ তার স্ত্রীর বিপরীতে অপর এক নারীকে চাকরি দেন। এরপর ওই ঘুষের টাকা চাইতে গেলে টালবাহানার পাশাপশি বিভিন্ন ভাবে হয়রানী করে আসছেন। ভুক্তভোগী সোনা মিয়া গোলদার বলেন, তার ছেলে ইসমাইল হোসেনকে নিরাপত্তা কর্মী পদে চাকরী দেয়ার মর্মে ওই মাদ্রাসার সহকারি শিক্ষক মোঃ আউয়াল হোসেনের মধ্যস্থতায় ৪ লাখ টাকা দেন। এখানেও অপর এক প্রার্থীর কাছ থেকে বেশী অংকের টাকা নিয়ে তাকে চাকরি দেয়। আমার টাকা ফেরৎ চাইতে গেলে আমাকে ভয়-ভীতিসহ হয়রানী করছেন সভাপতি টিপু খান। কাদেরীয়া দাখিল মাদ্রাসার সহকারি শিক্ষক মোঃ আউয়াল হোসেন, মধ্যস্থতা এবং টিপু খানের টাকা গ্রহনের বিষয়টি অপকটে স্বীকার করে বলেন, দু‘জনের চাকরীর বিপরীতে ৪ জনের কাছ থেকে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মোঃ টিপু খান টাকা গ্রহন করেছেন। এর মধ্যে দুজনে চাকরি দিয়েছেন। চাকরি বঞ্চিত দুজনের টাকা ফেরৎ দেয়ার দাবী জানান। মাদ্রাসা সুপার মাওলানা মোঃ আঃ রাজ্জাক বলেন, ম্যানেজি কমিটির কারণে দিন-দিন শিক্ষার্থী কমে যাচ্ছে। ইচ্ছা করলেই মুখ খুলে সব বলতে পারছি না। আমারা ভীতসন্ত্রস্ত। আমার কাছ থেকে এক প্রকার জোর করে নিয়োগে স্বাক্ষর নেয়া হয়েছে। নিয়োগকৃতরা বেতনও পেয়েছেন। এ ব্যাপরে মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি অভিযুক্ত সাইদুল ইসলাম টিপু খানের মুঠোফেনে একাধিক বার কল করলেও তিনি রিসিভ করেন নি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুল কাইয়ূম বলেন, লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Leave a Reply