November 22, 2024, 5:24 pm
বিপ্লবী ডেস্ক ॥ পবিত্র ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে রাজধানীতে সক্রিয় হয়ে উঠেছে চাঁদাবাজ ও ছিনতাই চক্র। ঈদ সালামি, বোনাস ইত্যাদি নামে তারা চাঁদা আদায় করছে। ইতোমধ্যে শতাধিক চাঁদাবাজ, ছিনতাইকারী ও অজ্ঞানপার্টির সদস্যকে গ্রেফতার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
চাঁদাবাজদের ধরতে নগরজুড়ে ফাঁদ পেতেছে গোয়েন্দারা। রাজধানীর অর্ধশতাধিক স্থানকে অপরাধের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হিসাবে চিহ্নিত করে চলছে বিশেষ নজরদারি। এ বিষয়ে র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন যুগান্তরকে বলেন, ঈদকে সামনে রেখে অপরাধী ও চাঁদাবাজদের দৌরাত্ম্য বাড়ে।
এদের ধরতে র্যাব কঠোর অবস্থান নিয়েছে। ইতোমধ্যে বিশেষ অভিযানে শতাধিক ছিনতাইকারী, চাঁদাবাজ ও অজ্ঞান পার্টির সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, অপরাধীদের ধরতে প্রযুক্তির পাশাপাশি র্যাব ছদ্মবেশে অভিযান চালাচ্ছে। ফুটপাতের চা-সিগারেট বিক্রেতা ও সিএনজি চালকের বেশে তারা চাঁদবাজ, ছিনতাইকারী ও অজ্ঞান পার্টির সদস্যদের ধরতে ফাঁদ পেতেছে। র্যাবের পাতা গোয়েন্দা ফাঁদে ধরা পড়ছে অপরাধীরা।
আর অর্ধশতাধিক পয়েন্টকে ক্রাইম হটস্পট হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। টহল ও চেকপোস্ট বাড়ানো হয়েছে নগরজুড়ে। এছাড়াও র্যাবের পক্ষ থেকে অজ্ঞান পার্টির হাত থেকে রক্ষা পেতে জনসাধারণকে সচেতনতামূলক পরামর্শ দেয়া হয়েছে। জানা গেছে, বাড্ডা, গুলশান, বনানী, রামপুরাসহ কয়েকটি এলাকায় সারা বছরই চলে নীরব চাঁদাবাজি। দ-প্রাপ্ত কারাবন্দি ও পলাতক শীর্ষ সন্ত্রাসীদের নাম ভাঙিয়ে একটি চক্র চাঁদা আদায় করে।
পাশাপাশি ক্ষমতাসীন দলের কিছু নেতা এমনকি পুলিশের নামেও চলে চাঁদাবাজি। ঈদকে কেন্দ্র করে এসব চাঁদবাজরা আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। গত কয়েকদিন বাড্ডা, গুলশান, বনানী ও রামপুরাসহ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে চাঁদাবাজির তথ্য পাওয়া গেছে।
ঈদ বোনাসের নামে ব্যতিক্রমী চাঁদাবাজিতে মেতেছে মহল্লার উঠতি সন্ত্রাসীরা। কুরবানিতে অসহায়দের মাংস বিতরণের নামে বা ঈদ পরবর্তী অনুষ্ঠানের নামে চাঁদা আদায় করছে তারা। বাড্ডা, গুলশান, বনানী থানা এলাকায় টোকাই রিয়াদের নেতৃত্বে একটি কিশোর গ্যাং চাঁদাবাজি করছে। ছাত্রলীগের নাম ভাঙিয়ে সেখানে রিফাত ওরফে ঘরজামাই রিফাত, রনি, ইয়াসিন, সেন্টু, সাগর, কাশেম ছাড়াও শতাধিক কিশোর-তরুণ চাঁদাবাজিতে যুক্ত।
মধ্য বাড্ডার এক ব্যবসায়ী যুগান্তরকে বলেন, বাড্ডা এলাকার পলাতক শীর্ষসন্ত্রাসী মেহেদী বাহিনীর নামে টোকাই রিয়াদ এবং ঘরজামাই রিফাত চাঁদাবাজি করছে। এদের দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানায় তিনি। ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, সাধারণত ঈদে অজ্ঞান পার্টি, ছিনতাই ও জাল টাকা চক্রের আনাগোনা বেড়ে যায়।
তাই জনসাধারণের নিরাপত্তায় সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। ডিবি পুলিশের টিম কয়েক স্তরে ভাগ হয়ে দায়িত্ব পালন করছে। শপিংমল ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর পাশাপাশি অলিগলিতেও নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে।
Leave a Reply