November 21, 2024, 3:57 pm
একাত্তরে বারুদের গন্ধ মেখে জন্ম হয়েছিলো বিপ্লবী বাংলাদেশ’র। একাত্তরে বেয়নেটের ধার আর বারুদের গন্ধ গায়ে মেখে ‘বিপ্লবী বাংলাদেশ’ পত্রিকার জন্ম মুক্তঞ্চলে। অগ্নিগর্ভ বাংলাদেশে যুদ্ধের ময়দানে পাকহানাদারদের প্রতিরোধে মুক্তিযোদ্ধারা সোচ্চার, ঠিক সেই মুহূর্তে সাংস্কৃতিক শৃঙ্খল মুক্তির আহ্বান জানিয়ে ছিলো-‘বিপ্লবী বাংলাদেশ’। রণাঙ্গনের পত্রিকা ‘বিপ্লবী বাংলাদেশ’ সেই দিনের পশ্চিমা অনুশাসনকে ভয় পায়নি।
নির্ভয়ে লেখা হয়-পাকিস্তানের স্বৈরশাসক তথা স্বৈর দৃষ্টিভঙ্গির বিরূদ্ধে। এক হাতে অস্ত্র আরেক হাতে কলম, সেদিন মৃত্যুকে কেউ ভয় পায়নি। তাই ‘বিপ্লবী বাংলাদেশ’ এর ইতিহাস স্বাধীনতা যুদ্ধেরই ইতিহাস। নূরুল আলম ফরিদ এর সম্পাদনায় প্রকাশিত সেদিনকার ‘বিপ্লবী বাংলাদেশ” পত্রিকার ভূমিকা সম্পর্কে পশ্চিমবঙ্গের ‘সাপ্তাহিক ক্যাম্পাস’ মন্তব্য করেছিল-‘৯ নম্বর সেক্টর থেকে’ ‘বিপ্লবী বাংলাদেশ” নামে পত্রিকা স্বাধীনতা যুদ্ধে একটি দূরপাল্লার কামানের চেয়েও বেশী কাজ করেছে। ‘মুক্তিযুদ্ধের উত্তাল দিনে যে পত্রিকার জন্ম সেই পত্রিকা ‘বিপ্লবী বাংলাদেশ’।
বহু ঘাত প্রতিঘাত করে আজও মুক্তিযুদ্ধের মহান আদর্শকে সমুন্নত রেখে অগ্রযাত্রা অব্যাহত রেখেছে ‘বিপ্লবী বাংলাদেশ’। সেই সেদিনের মতো স্বাধীনতার প্রত্যয়ে এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারন করে আজও নিয়মিত প্রকাশিত হচ্ছে বিপ্লবী বাংলাদেশ।
এখনও নূরুল আলম ফরিদ, এস এম ইকবালের মতো প্রবীণদের সাথে রাইসুল ইসলাম অভি, মেহেদী হাসানের মতো তরুনদের সমন্বয়ে এক দারুণ সাংবাদিক দল অবিরামভাবে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে পত্রিকাটির মান ঠিক রাখার জন্য। সেই লক্ষ্যে ইতিমধ্যে বিপ্লবী বাংলাদেশ’র ওয়েবসাইট চালু করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই পত্রিকাটির সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের পেইজটিও সচল করা হয়েছে।
পত্রিকাটির অলংকরণের দিকেও নজর দেয়া হয়েছে পাঠকদের চাহিদার কথা বিবেচনা করে। বিপ্লবী বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ প্রত্যাশা করে যে মান সম্মত সংবাদ পরিবেশন করে পাঠকদের মন জয় করতে পারবে এবং পাঠকদের উৎসাহকে সাথে নিয়ে এগিয়ে যাবে অনাগত ভবিষ্যতে।
Leave a Reply