November 21, 2024, 12:30 pm
মোহাম্মদ ছায়েদ, চরফ্যাশন ॥ চরফ্যাশন উপজেলার বঙ্গোপসাগরে উত্তালে ৫টি মাছ ধরার ট্রলারের ৭১জেলে নিখোঁজের সংবাদ পাওয়া গেছে। এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তাদের সন্ধান না পাওয়া জেলে পল্লিতে চলছে আহাজারি। তথ্য সূত্রে জানা যায়, ১৯ আগষ্ট সকাল থেকে বৃষ্টি ও প্রচুর বাতাস বইছে। এতে আহম্মদপুর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্র্ডের মোঃ রাসেল মাঝি, ৭নং ওয়ার্ডের রিপন মাঝি মাছ ধরার ট্রলারসহ মোট ২৯জন নিখোঁজ হয়।
১৮আগষ্ট বিকাল থেকে উপজেলার জাহানপুর ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের শফিউল্লাহ মাঝি, ১৪জন, ৯নং ওয়ার্ডের খোকন মাঝির ট্রলারসহ ১৬জন জেলের হদিস পাওয়া যায়নি। চরকুকরি মুকরি ইউনিয়নের নাছির মোল্লা মাঝির ট্রলারসহ ১২জেলে নিয়ে নিখোঁজ রয়েছেন বলে চর কুকরি মুকুরির ইউপির চেয়ারম্যান আবুল হাসেম মহাজন জানিয়েছেন। আহম্মদপুর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের ইয়ানুর বেগম বলেন, আমার দুই ছেলে রুবেল(২৫) ও জুবেল(২০) ১৯ আগষ্ট দুপুর থেকে খোঁজ পাওয়া যায়নি। তারা রিপন মাঝি ট্রলারে ছিলেন।
আহম্মদপ্রু গ্রামের বাচ্চু পলোয়ান বলেন, মেঘভাষান ও হাজীর হাটের রাস্তার মাথা থেকে প্রায় ৩০টি মাছ ধরার ট্রলার সাগরের গিয়েছে। সকল ট্রলার ঘাটে আসলেও ২টি ট্রলার মাছ ঘাটে আসেনি। তাদের কোন খোঁজও পাওয়া যায়নি। তবে তাদের ট্রলার ডুবে গিয়েছে বলে সংবাদ পাওয়া গেছে। জাহানপুর ইউনিয়নের সাবেক ইউপির চেয়ারম্যান আলী আকবর ফরাজী বলেন, আমাদের এলাকার শফিউল্যাহ মাঝি ও খোকন মাঝির মাছ ধরার ট্রলার দুটি মাঝি মাল্লাসহ নিখোঁজ রয়েছে। তাদের ট্রলারে ৩০ জেলে ছিল। চরফ্যাশন উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মারুপ হোসেন মিনার বলেন, চরফ্যাশন উপজেলা বিচ্ছিন্নদ্বীপ চরকুকরি মুকরির ইউনিয়নের ১টি ও হাজারীগঞ্জের ২টি ট্রলার পাওয়া যায়নি। এছাড়াও আমার কাছে আর অন্য ট্রলারের তথ্য নেই। চরফ্যাশন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা(ভারপ্রাপ্ত) আব্দুল মতিন খান বলেন, চরফ্যাশন উপজেলার মোট ১৩টি ট্রলারের মধ্যে ১০টি মাছ ধরার ট্রলারের সন্ধান পাওয়া গেছে। বাকী ৩টির খোঁজ পাওয়া যায়নি। তাদেরকে উদ্ধারের জন্যে উপজেলার প্রশাসন, চরমানিকার কোস্টগার্ড, নৌ-পুলিশ ও থানা পুলিশ চেষ্টা অব্যহত রয়েছে।
Leave a Reply