January 31, 2025, 10:55 pm
স্টাফ রিপোর্টার ॥ চাঁদা চেয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে জখমের মামলার চার্জ গঠনের দিনে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০ শিক্ষার্থী। গত বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) বরিশালের মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নুরুন নাজনীন তাদের খালাস দেন। বেঞ্চ সহকারী মো. চার্চিল এমনটি জানান। তিনি জানান, চার্জ গঠনের দিন মামলার আসামিদের বিচারক অব্যাহতি দিয়েছেন। অব্যাহতিপ্রাপ্তরা হলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের ২০১৪-১৫ বর্ষের শিক্ষার্থী মুয়ীদুর রহমান বাকী (২৮), একই বিভাগের ২০১৩-১৪ বর্ষের শিক্ষার্থী রাকিব হাসান রনি (২৮), একই বিভাগের ২০১২-১৩ বর্ষের শিক্ষার্থী আব্দুল আলীম সালেহী (৩৩), ব্যবস্থাপনা বিভাগের ২০১৭-১৮ বর্ষের শিক্ষার্থী মো. শাহরিয়ার হোসেন বিপ্লব (২৬), একই বিভাগ ও বর্ষের শিক্ষার্থী আসিফ বিল্লাহ (২৪), লোকপ্রশাসন বিভাগের ২০১৭-১৮ বর্ষের শিক্ষার্থী মাহমুদুল হাসান আদনান (২৪), মার্কেটিং বিভাগের ২০১৭-১৮ বর্ষের শিক্ষার্থী আয়াত উল্লাহ (২৩), একই বিভাগ ও বর্ষের শিক্ষার্থী মো. সালাহউদ্দিন (২৬), বাংলা বিভাগের ২০১৫-১৬ বর্ষের শিক্ষার্থী আরাফাত হোসেন জিহাদ (২৫) এবং কম্পিউটার সায়েন্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২০১৯-২০ বর্ষের শিক্ষার্থী শওকত হোসেন (২৩)। মামলার বরাতে বেঞ্চ সহকারী জানান, ২০২৩ সালের ৫ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারের সামনে শিক্ষার্থীদের এক পক্ষের ওপর অপর পক্ষ হামলা করে। এ সময় দেশীয় ধারালো অস্ত্র এবং জিআই পাইপ নিয়ে এক পক্ষ অন্য পক্ষের চার শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে আহত করে। এ ঘটনায় ১৭ আগস্ট বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আল সামাদ শান্ত বাদী হয়ে নামধারী ১৫ জনসহ অজ্ঞাতনামা আরও ২০ জনকে আসামি করে মহানগর পুলিশের বন্দর থানায় মামলা করেন। বন্দর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) হরিদাস নাগ ১০ জনকে অভিযুক্ত করে ওই বছরের ৩১ মে আদালতে চার্জশিট জমা দেন। এবিষয়ে মামলা থেকে অব্যহতি পাওয়া ববি শিক্ষার্থী মুয়ীদুর রহমান বাকী জানান, ২০২৩ সালের ৫ই আগস্ট তৎকালীন বিসিসি মেয়র খোকন সেরনিয়াবাত এর অনুসারী বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী এবং তার বহিরাগত ক্যাডার বাহিনীরা নারী শিক্ষার্থীসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষার্থীদের উপর হামলা চালায়। এঘটনার প্রেক্ষিতে আমরা মামলা করতে চাইলে থানা থেকে আমাদেরকে জানানো হয়, মামলা হলে উভয় পক্ষের মামলা হবে। পরবর্তীতে আহত শিক্ষার্থী আয়াত উল্লাহ বন্দর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। অপরদিকে, ববি শিক্ষার্থী আল সামাদ শান্ত আহত না হয়েও তিনিও বন্দর থানায় মামলা দায়ের করেন। বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষার্থী বলেন, এই আল সামাদ শান্ত’র নেতৃত্বে জুলাই বিপ্লবে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনকারীদের উপর হামলা চালান। এঘটনায় তার বিরুদ্ধে বর্তমানে একটি মামলা চলমান রয়েছে। আসামিপক্ষের আইনজীবী আবু আল রায়হান বলেন, মামলাটি সম্পূর্ণ রূপে মিথ্যা এবং বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের একটি প্রহসন ছিলো। বৃহস্পতিবার অভিযোগ গঠনের দিনে সবাইকে অব্যাহতি দেন বিচারক। অব্যাহতি পাওয়া সব আসামি এজলাসে উপস্থিত ছিলেন।
Leave a Reply